জাহিদ হাসান : চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামের ইয়ামিন হোসেন কে জবাই করে হত্যা করে একই গ্রামের সাবেক মেম্বার এর ছেলে জাহিদ। ইয়ামিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি জাহিদ কে (১৬) গ্রেফতার করেছে দামুড়হুদা থানা পুলিশ। সোমবার ভোর রাতে তাকে গ্রেফতার করে দামুড়হুদা থানা পুলিশ ।
দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের সূত্রে জানা যায় যে ঘাতক জাহিদ চুয়াডাঙ্গার চন্দ্রাবাস এলাকা থেকে জেলা ত্যাগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছল। দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফৌরদোস ওয়াহিদ এর নেতৃত্বে পরিদর্শক অপারেশন মোল্লা সেলিম , এস আই আব্দুর রহমান , এস আই আতিকুর রহমান ও তাদের সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কানাইডাঙ্গা গ্রামের সাবেক মেম্বার আশাদুল ইসলামের ছেলে ঘাতক জাহিদ কে গ্রেফতার করে দামুড়হুদা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত জাহিদের তথ্য অনুযায়ী জাহিদ যে হাসুয়া দিয়ে ইয়ামিন কে হত্যা করা হয় সেটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দামুড়হুদা থানা পুলিশ। মামলার তদন্তকারি এস আই আতিকুর রহমান জুয়েল জানান , সোমবার ভোর রাতে নাটুদাহ ইউনিয়নের চন্দ্রাবাস এলাকা থেকে ইয়ামিন হত্যা মামলার প্রধান আসামী কে গ্রেফতার করে দামুড়হুদা থানা পুলিশ। তারপর আসামী জাহিদ কে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করি। আমরা আসামীর সিকারক্তী নিয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যায়। হত্যার স্থান হতে পাকা কবরস্থানের পাশে ঝোপের ভেতরে ফেলে রাখা হাসুয়াটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য গত শনিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামের আমবাগাননে দোকান থেকে চানাচুর ও মুড়ি কেনার পর অবশিষ্ট (১০) টাকা খরচ করাই শিশু ইয়ামিন কে হাসুয়া দিয়ে জবাই করা হয়। শিশু শিক্ষার্থী কে হত্যা করে একই গ্রামের সাবেক মেম্বারের ছেলে জাহিদ। ইয়ামিন কে হত্যার পরদিন ইয়ামিনের মা বাদী হয়ে জাহিদের নামে একটা হত্যা মামলা করেন। দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি ফৌরদোস ওয়াহিদ বলেন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাকে আগামীকাল সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজোতে পেরন করা হবে