টাকা ছাপানো বন্ধ করে দিয়েছি - Amader Bangladesh

দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে টাকা ছাপানো একদম বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার রাতে চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকের সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছি। ধীরে ধীরে সেটা বাড়ানো হচ্ছে। টাকা ছাপানো হচ্ছে না। অনেকেই বলছে, “টাকা ছাপিয়ে টাকা ছড়ানো হচ্ছে”। টাকা ছাপানো একদম বন্ধ করে দিয়েছি। টাকা ছাপানো হবে না।’

ডলার সংকট দূর করার জন্য সরকারের গৃহীত কার্যক্রম তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘ডলার বিনিময় হার যাতে নমনীয় থাকে সেই পদক্ষেপ নিয়েছি।’

এখন ইচ্ছামতো এলসি খোলা যায় না উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন যাচাই করে এলসি খোলা হয়। আগে যেমন ইচ্ছামতো কোনটা অতিমূল্য, কোনটা অবমূল্যায়ন করা হতো। সেটার আর সুযোগ নেই। এতে হয়তো কিছু ব্যবসায়ী বিপদে পড়ে যান। সেটা সঠিক বিপদ না, টাকা পাচারের সুযোগ কমে যায়। সেই জন্য কিছু চিৎকার কিছুদিন শুনেছি। কিন্তু বাস্তব কথা হলো, অতিমূল্য দেখিয়ে কম মূল্যের জিনিস নিয়ে এসে, বাকি টাকা রেখে এসে একটা খেলা খেলে। বাংলাদেশ ব্যাংক একটা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। ব্লমবার্গের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে এলসি খোলা হচ্ছে। এতে আমদানিতে যে অতিরিক্ত ব্যয় হতো—সেটা অনেকটাই কমে এসেছে। তার হিসাব কিন্তু আছে। এতে ডলার সাশ্রয় হচ্ছে।’

খোলা বাজারে ডলার কেনাবেচার বিষয়ে সরকার নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নিত্যপণ্য আমদানির জন্য রিজার্ভ থেকে টাকা দিচ্ছি। দেশের মানুষের কষ্ট যেন না হয়। রিজার্ভ মানে হলো তিন মাসের আমদানির খরচ যাতে থাকে। তার বেশি খুব বেশি প্রয়োজন আছে তাও না।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘জাতির পিতা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন শূন্য রিজার্ভ দিয়ে। তখন তো একটাও রিজার্ভ ছিল না। সাড়ে তিন বছরে দেশ গড়ে তুলেছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে আসার সময় রিজার্ভ এক বিলিয়ন ছিল না। কাজেই এটা নিয়ে কাউকে দুশ্চিন্তা বা মাথা খারাপ করার প্রয়োজন মনে করি না।’

ডলারের ওপর চাপ কমাতে ভারতের সঙ্গে লেনদেনে নিজস্ব অর্থে কেনাবেচার চুক্তি করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এতে ডলারের ওপর চাপ কমে যাবে।’

About Author