মোঃ আলেক উদ্দীন দেওয়ান : বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস – ২০২২। “বিনিয়োগ করি যক্ষ্মা নির্মূলে, জীবন বাঁচাই সবাই মিলে” এই স্লোগানকে সামনে রেখে ‘বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস’ পালিত। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ১০টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন আয়োজিত এবং রাজশাহী ডমিয়েন ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় দিবসটি পালিত হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় র্যালি বের প্রদর্শন মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানিকভাবে দিবসট। উদযাপন করা হয়। পরে সিভিল সার্জন কায্যালয়ে আলোচনা সভায় উপস্থিত থেকে যক্ষ্মা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক বক্তব্য রাখেন,
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ সিভিল সার্জন চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ডা. রাকিবুল ইসলাম মেডিকেল অফিসার সিভিল সার্জন অফিস, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোঃ মাসুদ পারভেজ, জুনিয়র কনসান্টেন্ট ক্ষব্যাধি ক্লিনিকের মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন সার্ভেল্যান্স মেডিকেল অফিসার টি.বি ডা. মোঃ আসহাব শাহরিয়ার, সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য অফিসার চৌধুরী আব্দুল্লাহ, নার্সিং ইনষ্ট্রাক্টার মাতয়ারা খাতুন, জনাব আবু হেনা মোস্তফা কামাল (পি.এল.সি.ও, ডি.এফ), সিভিল সার্জন অফিসের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার মুহাম্মদ গোলাম রব্বানী।
আলোচনা সভায় তারা বলেন, ১৮৮২ সালে ২৪ মার্চ ডা. রবার্ট করু যক্ষ্মা রোগের জীবাণু মাইক্রোব্যাটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস আবিষ্কার করেন।যক্ষ্মারোগের জীবাণু আবিষ্কারের ১০০ বছর পর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ দিনটিকে স্মরণীয় করা ও যক্ষ্মারোগের চিকিৎসা সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর এ দিনটিকে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও সারা বিশ্বে এ দিনটি পালন করা হচ্ছে।
জানা গেছে, যক্ষ্মা এখনো বিশ্বের ১০টি মৃত্যুজনিত কারণের মধ্যে অন্যতম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রতিদিন বিশ্বে চার হাজার মানুষ যক্ষ্মা রোগে মারা যায় এবং ৩১ হাজার আক্রান্ত হয়। তবে বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় ২০০০ সাল থেকে ৫৮ মিলিয়ন মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা সর্বাধিক, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ১৯৯৩ সালে পৃথিবীতে যক্ষ্মা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যক্ষ্মাকে গ্লোবাল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করে। তখন থেকে বাংলাদেশ সরকার বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে যক্ষ্মার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: ২০১৫ সালের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যক্ষ্মা মহামারিকে আলোকপাত করার জন্য একটি নতুন কৌশল অনুমোদন করে। এ কৌশল প্রদান করবে একটি উচ্চাভিলাষী নতুন দিকনির্দেশনা যা ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে যক্ষ্মারোগে মৃত্যুহার ৯৫% (বেজ লাইন ২০১৫ সালের তুলনায়) কমাবে এবং নতুনভাবে সংক্রমিত যক্ষ্মা রোগীর হার ৯০% (বেজ লাইন ২০১৫ সালের তুলনায়) কমিয়ে আনবে।