নিজস্ব প্রতিবেদক : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তৈরি করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারস্থ হবেন সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ সোমবার রাতে টেলিফোনে তিনি দৈনিক আমাদের বাংলাদেশকে বলেন, ‘জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করেই আমরা এ কাজটি করব।’
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সরকারকে বিপদে ফেলা অথবা কিট নিয়ে রাজনীতি করার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। এই কিট তৈরির পেছনে প্রধানমন্ত্রী, এনবিআর, বিদ্যুৎসহ অনেকেরই অবদান আছে। তাদের কাছে আমি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ডিজি সাহেবেরও প্রশংসা করেছি। এই কাজে যে যতটুকু সহযোগিতা করেছেন সবার কাছেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশ আমাদের কিটের বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ী স্বার্থে আমাদের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এ কিট পরীক্ষা করতে বিলম্ব করছে। ঔষধ প্রশাসনের ডিজির সংবাদ সম্মেলন করার আগে আমি তাকে ফোন করেছি, ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছি। কিন্তু তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেননি। ডিজি আমার সঙ্গে কথা বললে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, যে ভুল করেছেন তা করতেন না।’
ফরিয়া অথবা দালালদের কারণে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট পরীক্ষা বিলম্বিত হচ্ছে উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এরা যখন দেখল কিট তৈরি থেকে আমাদের আর আটকানো গেল না, তখন কিট পরীক্ষায় বিলম্ব তৈরি করছে। প্রধানমন্ত্রী নজরে আসলে এ সমস্যারও সমাধান হয়ে যাবে। দু-একদিন দেখার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করব।’
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমেরিকা থেকে আমাকে ফোন করেছে। তারা এই কিট নিয়ে পরীক্ষা করবেন। ইরান, ভারত আমাদের কিট নিতে চায়। অথচ নিজ দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গুরুত্ব দিচ্ছে না। এটাই দুঃখের বিষয়। তবে আমরা অপেক্ষায় থাকব।’
এ দিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিট নেবে। তারা এটি পরীক্ষা করে দেখবে এবং রেজাল্ট জানাবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেশে সরকারের সঙ্গে কাজ করে। যেহেতু সরকার নেয়নি সেহেতু তারাও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আসেনি। তবে তাদের কাছে কিটের নমুনা পাঠানো হবে পরীক্ষার জন্য।’
এর আগে, গত শনিবার সরকারকে কিট হস্তান্তরের জন্য আনুষ্ঠানিক আয়োজন করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ওই দিন সরকারের কেউ কিট গ্রহণের জন্য আসেনি। পরে গতকাল রোববার গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে করোনা শনাক্তের কিট নিয়ে গেলে সেখানেও কেউ কিট গ্রহণ করেনি।