ডা. জাফরুল্লাহর দাবিকে সমর্থন মান্নার - Amader Bangladesh

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেমিডেসিভির গ্রুপের ইনজেকশনের দাম কমানোর জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

আজ মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম পাঠানো এক বিবৃতিতে মাহমুদুর রহমান মান্না এ সমর্থনের কথা জানান।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘করোনা পজিটিভ হওয়ার পর থেকে সমগ্র জাতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করছে। যে মুহূর্তে সরকারদলীয় প্রভাবশালীরা বিদেশ গমন এবং বিভিন্ন বেসরকারি ও সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন, সেই মুহূর্তে অনেক সুযোগ থাকার পরও তিনি নিজ বাড়িতে এবং দেশের নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য নিজের গড়ে তোলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘এমনকি অতি উচ্চমূল্য হওয়ায় করোনা চিকিৎসার ইনজেকশন যা সর্বসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে, তিনি সেই চিকিৎসা নিতে অসম্মতি জানিয়েছেন। কেননা তিনি নিজে অতি উচ্চ খরচে এই ইনজেকশন নিতে পারলেও সাধারণ জনগণের পক্ষে তা সম্ভব হবে না। এজন্য এই ওষুধের মূল্য কমাতে তিনি সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।’

মান্না বলেন, ‘তিনি অনেক বছর যাবত সরকারের কাছে ওষুধের দাম কমাবার জন্য ওষুধ প্রস্তুতকারকদের স্বার্থরক্ষা করে বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন যাতে ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কখনোই এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। জীবন সংকটে থাকা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ওষুধের দাম কমানোর দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় দেশের সাধারণ জনগণের কথা মাথায় রেখে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী চিকিৎসা না নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে এই মহান ব্যক্তির কিছু হলে জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না এবং তা হবে ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কিত অধ্যায়গুলোর একটি।’

তিনি বলেন, ‘মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে হলেও জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এই দাবির সঙ্গে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং জনগণের কাছে তার রোগমুক্তির জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি।’

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) সার্স ভাইরাস প্রতিরোধে বানানো রেমিডেসিভির ওষুধ করোনাভাইরাস প্রতিরোধেও কার্যকরী বলে অনুমোদন দেয়। করোনা চিকিৎসায় সারা বিশ্বে ওষুধটি নিয়ে বেশ আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছে। ৮টি ওষুধ কোম্পানিকে রেমডেসিভির তৈরির অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

About Author