খালেদার নাইকো মামলায় চার্জগঠনের শুনানি পেছাল - Amader Bangladesh

আদালত প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় নাইকো দুর্নীতির মামলার চার্জগঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৯ জানুয়ারি ঠিক করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জের কারাভবনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে এ মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে চার্জগঠন থেকে অব্যাহতির আবেদনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।

এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবীরা শুনানি পেছানোর আবেদন করে বলেন, ‘খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি সুস্থ হয়ে আদালতে আসবেন। তার অনুপস্থিতিতে চার্র্জ শুনানি বেআইনি।’

শুনানি শেষে ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৯ জানুয়ারি চার্জ শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এর আগে গত বছর পহেলা এপ্রিল খালেদা জিয়াকে কারাকর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন—তারেক রহমানের বন্ধু বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একে এম মোশাররফ হোসেন ও সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটির তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটের বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিচার্জ করে স্থাগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডার কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়।

 

About Author