করোনার মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে আঘাত হানছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ - Amader Bangladesh

অনলাইন ডেস্ক : এপ্রিলের শেষে বা মে মাসের শুরুতেই বঙ্গোপসাগরে আঘাত হানছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। তবে কোথায় আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ঘূর্ণিঝড় সাগরে বাসা বাঁধার পর তার প্রকৃতি দেখেই বোঝা যাবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ওয়ান ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান নামটি দিয়েছে থাইল্যান্ড। এই আম্ফান ২০১৯-এর ঘূর্ণিঝড় তালিকার শেষ নাম।

‘নর্দান ইন্ডিয়ান ওসেন সাইক্লোন’-এর নামগুলো আটটি দেশ পর্যায়ক্রমে রাখে। এগুলো হলো-বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। সেই পর্যায়ক্রমে আট নম্বর তালিকায় শেষ নামটি হলো আম্ফান।

এপ্রিলে সৃষ্ট হওয়া ঘূর্ণিঝড় ভারতীয় মূল ভখণ্ডের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। ভারতের পূর্ব উপকূলে মাত্র চারটি ঝড় আছড়ে পড়েছে ১৮৯১ সাল থেকে। বাকি ২৪টি ঝড় বাংলাদেশ-মায়ানমারে আছড়ে পড়েছে। এপ্রিলে ঝড়ের প্রাক ইতিহাস গত ১০ বছরে অর্থাৎ ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে আরব সাগরে এপ্রিল মাসে সে অর্থে কোনো ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়নি এবং একইভাবে বঙ্গোপসাগরে জুনেও কোনো ঝড় উঠেনি।

গত দশকে এই দুই অববাহিকার প্রতিটি চারটি ঘূর্ণিঝড় দেখা গেছে। ‘মরুত’ এই দশকের প্রথম ঝড়। এটি ২০১৭ সালের ১৫ এপ্রিল সংগঠিত হয়েছিল এবং শক্তিশালী উল্লম্ব বায়ুর কারণে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। ব্যতিক্রমী ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ অবস্থা এপ্রিল মাসে বা মে মাসের প্রথমার্ধে ঘূর্ণিঝড়গুলো বেশির ভাগই বাংলাদেশ বা মিয়ানমারকে আঘাত করে।

এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ গত বছর ব্যতিক্রম ছিল। যা এপ্রিলের শেষ দিকে ওড়িশা উপকূলকে ধ্বংস করে দেয়। তবে ১৯৯৯ সালের ওড়িশা ঘূর্ণিঝড়টি ভারতীয় উপকূলে আঘাত হানার সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হিসেবে ধরা হয়।

শিগগিরই বঙ্গোপসাগরে এই মৌসুমের প্রথম সাইক্লোন তৈরি হতে চলেছে। ২৭ এপ্রিল আন্দামান সাগরের ওপর এই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। পরদিন ২৮ এপ্রিল একই অঞ্চলে থেকে তা শক্তি সঞ্চয় করবে। ২৯ এপ্রিল ওই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। পরদিন ৩০ এপ্রিল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে সমুদ্রের ওপর দিয়ে বইতে শুরু করবে।

About Author