করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সার্কভুক্ত দেশের সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী - Amader Bangladesh

নিজস্ব প্রতিবেদক : মরণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সার্কভুক্ত দেশগুলোর সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কভিড-১৯ রোগ বৈশ্বিক মহামারী আকার ধারণ করার প্রেক্ষাপটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্স এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সম্মিলিত কর্মপন্থা ঠিক করতে আয়োজিত ওই ভিডিও কনফারেন্সে মিলিত হন সার্কভুক্ত আট দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও এই ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোটবায়া রাজাপাকসা, আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি আশরাফ গনি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জাফর মির্জা, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সার্কের নেতারা এ ভাইরাস রোধে করণীয় নিয়ে মতামত তুলে ধরেন। পাশাপাশি তাদের গৃহীত পদক্ষেপের কথাও জানান।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে বিদেশ থেকে আসা কেবল তিনজন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে, অন্য দুজনের কথা নতুনভাবে জানা যাচ্ছে। বাংলাদেশের স্থানীয় কেউ করোনভাইরাসে আক্রান্ত বলে খবর পাওয়া যায়নি।’

করোনাভাইরাস রোধের পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশ কঠোর নজরদারি ও চেকআপ করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই সংকট মোকাবিলার জন্য সার্কভুক্ত সবগুলো দেশকে নিবিড়ভাবে সহযোগিতা ও একসঙ্গে কাজ করা দরকার।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নিজেদের দক্ষতা ভাগাভাগি করে নেওয়া উচিত। প্রয়োজনে বাংলাদেশ রসদ সরবরাহ করতে পারে। সার্কভুক্ত দেশগুলোর স্বাস্থ্য সচিব এবং বিশেষজ্ঞদেরও তথ্য ও দক্ষতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমন্বয় করা উচিত।’

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্কুলের বাচ্চাদের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি প্রচার করা হচ্ছে এবং কর্তৃপক্ষের কাছে ইনফ্রারেড থার্মোমিটার, মাস্ক এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে।’

About Author