মোঃ আলমগীর হোসেন :পূবালী ব্যাংক আর্মড গার্ড কল্যান পরিষদ এর সভাপতি জনাব আবদুল আলিম মির্জা বলেন,পূবালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ, শাখ প্রধান ও বিভাগ প্রধানদের অনেক বেশি সুবিধা দিয়েছে, কিন্তু ঐ শাখা বা বিভাগে আরও ১০/২০/৩০ জন অফিসার আছে তাদের অধিকার ক্ষুন্ন করা হয়েছে।
এই সুযোগে শাখা প্রধান ও বিভাগ প্রধানরা নিজে চুরি করে, শাখার অন্য অন্য আর্মড গার্ড ও অফিসার এদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে। শুধু মাত্র আর্মড গার্ড নির্যাতিত তা নয়, সমস্ত অফিসার স্টাফ সবাই নির্য়াতিত। আর্মড গার্ডদের দিয়ে ২৪ (চব্বিশ ঘণ্টা) ডিউটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে, চাকরি হারাতে হবে, প্রহসন মূলক বদলী, ও নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। আর এই প্রতিষ্ঠানে হেলপারদের চাকরি ১৫/২০ বছরেও স্থায়ী হয়নি। ম্যাসেনজার কাম গার্ড ৫ বছর আগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে শুধু মাত্র দশ হাজার টাকা বেতন ভাতা ছাড়া আর কিছুই দেওয়া হয় না।
বৎসরিক বেতন বৃদ্ধি ও চাকরি স্থায়ী কোনটাই হচ্ছেনা তাদের।
পূবালী ব্যাংক লিঃ নুরপুর শাখা, মুন্সিগন্জ। সিনিয়র আর্মড গার্ড মোঃ আকরাম হোসেন অসুস্থ হয়ে ছুটি ভোগ করে তাই তার মে ২০২০ ইংরেজি মাসের বেতন বন্ধ। গতকাল শাখায় কাজ করতে গেলে ম্যানাজার নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। নারায়ণগঞ্জ জোন আঞ্চলিক অফিসে পাঠানো হয়েছিল। ২৪ ঘন্টা ডিউটির প্রতিবাদ করলেই, যত অপরাধ।
পূবালী ব্যাংক লিঃ হেড অফিসের এর আর্মড গার্ড মোহাম্মদ মামুন, অধিকার চেয়ে মামলা করেছেন শ্রম আদালতে, তাই তার বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করেছেন কর্তৃপক্ষ অথচ অন্য সমস্ত স্টাফ ভাইদের ইনক্রিমেন্ট দিয়েছেন।
যে কোন শাখার আর্মড গার্ড ২৪ ঘন্টা ডিউটি করতে না চাইলে ও শুক্রবার শনিবার ছুটি চাইলে। তার উপরে চলে অত্যাচার নির্যাতন। অথচ আর্মড গার্ড এদের অস্ত্র ছাড়া অন্য ডিউটি কারার কথা না। রাতে ডিউটি জন্য নাইট গার্ড নাই কোন শাখায়। সকাল ১০ টা থেকে সন্ধা ৬ টা পর্যন্ত আর্মড গার্ড আর সন্ধ্যা থেকে পরের দিন সকাল ১০ পর্যন্ত এই ১৬ ঘন্টা নাইট গার্ড। এই ১৬ ঘন্টা অতিরিক্ত ডিউটি জন্য ১৫ টাকা ভাতা দেওয়া হয়। প্রতি দিন এই ১৬ ঘন্টা অতিরিক্ত ডিউটি করতে বাধ্য করছেন পূবালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত ডিউটি করতে করতে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে অনেক আর্মড গার্ড। এই বড় প্রতিষ্ঠানের বড় অপকর্ম দেখার কেউ নেই বলে দুঃখ প্রকাশ করেন পূবালী ব্যাংকের আর্মড গার্ড সকল।
আর্মড গার্ডদের ২৪ ঘন্টা ডিউটি প্রত্যাহারের সহযোগিতা চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভনর এর নিকটে একাধিক বার আবেদন করা হয়েছে। আছে আবেদন এর রিসিভ কপি। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন।
এক বছরে সিনিয়র আর্মড গার্ড মোঃ আতিউর রহমান কে রংপুর থেকে ঢাকা, ঢাকার বিভিন্ন জোনে ও সিলেটে ৭ বার বদলী হয়েছে। কিন্তু মানব সম্পদ বিভাগের জিএম / ডিজিএম বলতে পারেন না। কি কারণে তার এত বদলী। লিখিত কোন কারণ নাই তাহার ব্যাক্তগত ফাইলে।
আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের ৪ জন আর্মড গার্ড মামলা করেছেন। সরকারি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর পরিদর্শন করে, পূবালী ব্যাংকে অপরাধী করে তারা সরকার বাদী আরও ৪ টি মামলা সমন ও হাজিরা চলছে শ্রম আদালতে।