নিজস্ব প্রতিবেদক :শারীরিক অসুস্থতা না কাটলেও রোজা রেখে ও ইবাদত করে সময় পার করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ শুক্রবার তার ছোট বোন সেলিমা ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘উনি (খালেদা জিয়া) কোয়ারেন্টিন চিকিৎসার মধ্যে আছেন। তার শারীরিক অসুস্থতা এখনো কাটেনি, অগ্রগতি ধীরগতিতে হচ্ছে। এখনো তার হাত-পায়ে ব্যথা আছে, হাতের আঙ্গুল আগের মতোই বাঁকা আছে, ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে নেই।’ বড় বোনের জন্য এ সময় দোয়াও চান তিনি।
সেলিমা ইসলাম আরও বলেন, ‘অসুস্থতা থাকলেও উনি রোজা রাখছেন। প্রতিদিন আমরা দুই বোন এক সাথেই ইফতার করি। আর কেউ থাকে না। রাতে খাবারও একসাথেই হয়। আমাদের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী (শামীম ইস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা) বিকালে এসে সব কিছু ঠিক করে দিয়ে যায়।’
৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে রিউমাটয়েড আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার চিকিৎসা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। ফিজিও থেরাপি, চিকিৎসার ফলোআপ এবং কনস্টেন্ট মনিটরিংয়ে মধ্যে তাকে থাকতে হবে।
জানা গেছে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি টিমের তত্ত্বাবধায়নে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। কয়েক সপ্তাহ পর পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে দেখে যান। সর্বশেষ গত সপ্তাহে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম বেগম জিয়াকে দেখতে গেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইবাদত বন্দেগী করা ছাড়াও টেলিফোনে দুই ছেলের স্ত্রী ও নাতনিদের সঙ্গে কথা বলে খালেদা জিয়া। লন্ডন থেকে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান বিএনপি চেয়ারপারসনের সব কিছু তত্ত্বাবধায়ন করছেন বলে জানান দলের ভাইস চেয়ারম্যান বিশেষজ্ঞ টিমের সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
গত ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে ৬ মাস সাজা স্থগিত রেখে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় সরকার। এরপর থেকে তিনি গুলশানে নিজের বাড়ি ফিরোজায় অবস্থান করছেন।
গত ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা‘য় ওঠেন অসুস্থ খালেদা জিয়া। বাসার দোতলায় চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে তিনি ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। এখনো তিনি কোয়ারেন্টিনেই আছেন।
ফিরোজার নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, বাসায় প্রবেশাধিকার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। শুধুমাত্র চিকিৎসক টিমের সদস্যবৃন্দ এবং কয়েকজন কাছের আত্মীয়-স্বজন বাসায় ঢুকতে পারবেন।