নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) পরিচালক মাহবুব হোসেন। আজ বুধবার তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
সকল শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে এই টিকা প্রদানের সময়সীমা নির্ধারণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে বয়স ১৮ হওয়ায় মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে পারছে না।
মাউশি পরিচালক বলেছেন, ‘আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে যেসব শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ এর উপরে তাদের ভ্যাকসিনেশন সম্পন্ন করা হবে। এরপর তাদের প্রতিষ্ঠান খোলা যায় কিনা সে বিষয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে।’ তবে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষার্থীদের এখনি ভ্যাকসিনেশন করে আমাদের পক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না বলে জানিয়েছেন মাউশি পরিচালক।
এদিকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলেও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও বার্ষিক পরীক্ষার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গত বছর আমরা পরীক্ষার পরিবর্তে অ্যাসাইনমেন্ট নিয়েছিলাম। এ বছর তো অনেক অ্যাসাইনমেন্ট। যদি পরীক্ষা নিতে না পারি তাহলে আমরা অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে পরামর্শটা দিতে পারবো।’ জেএসসি নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত সোমবার থেকে গতকাল মঙ্গলবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫৭ হাজার ২৯৭ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৫ হাজার ২৮৪টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর ১৭ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কয়েকবার খোলার চেষ্টা করা হলেও করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তা আর খোলা সম্ভব হয়নি।