Skip to content
  • Tue. Jul 1st, 2025
Amader Bangladesh
  • NATIONAL
  • INTERNATIONAL
  • ALL BANGLADESH
    • DHAKA
    • CHITTAGONG
    • SYLHET
    • MYMNSHING
    • BARISHAL
    • RANGPUR
  • KHULNA
  • POLITIC
  • EDUCATION
  • CRIME
  • ENTERTAINMENT
    • ছোট পর্দা
    • ঢালিউড
    • হলিউড
    • বলিউড
    • টলিউড
  • SPORTS
    • FOTBALL
    • CRICKET
  • ALL BD JOBS
  • LIFE STYLE
সারাদেশ

শ্বাসকষ্ট দেখে আইসিইউ থেকে বের করে দিলো, বাবার মৃত্যুর বর্ণনা দিলেন ছেলে

Jun 7, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠে আসছে হৃদয়বিদারক সব ঘটনা। সম্প্রতি শ্বাসকষ্টে বাবার মৃত্যু নিয়ে হৃদয়বিদারক এক স্ট্যাটাস দিয়েছে চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী।

স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেছেন, তার বাবাকে নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরতে হলো, কেউ তাকে ভর্তি নেয়নি। শেষ পর্যন্ত ঠাঁই হলো চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে। কিন্তু তাকে আর বাঁচানো যায়নি।

দৈনিক আমাদের বাংলাদেশ অনলাইনের পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-

‘বাবার বয়স ৮২ বছর, দীর্ঘদিন ব্রঙ্কাইটিস এবং প্রষ্টেটের সমস্যায় ভুগছেন। ২৭ রমজান সেহরি শেষ করতে না করতেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন সাথে শ্বাসকষ্ট-কাশি, কাশির সাথে হালকা রক্ত দেখা যায় এবং প্রচুর ঘামতে থাকেন।

বর্তমান পরিস্থিতিতে মেডিকেল এবং প্রাইভেট হাসপাতালের বিমাতা শুলভ আচরণের কথা ভাবতে ভাবতেই ঘণ্টাখানেক কেটে যায়। বাবার অবস্থার কোনো পরিবর্তন না দেখে কপালে যা থাকে হবে মেনে নিয়ে বাবাকে নিয়ে বেরিয়ে গেলাম এবং দ্রুতগতিতে নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালের ইমার্জেনসিতে ঢুকলাম। এরমধ্যে ছোট বোনের হাজব্যান্ড এসে উপস্থিত হলো, কর্তব্যরত ডাক্তার বুকের এক্সরে এবং ইসিজি করালেন, রিপোর্ট দেখে বললেন বাবাকে দ্রুত আইসিইউ’তে রাখতে হবে। আমি সময় নষ্ট না করে ব্যবস্থা নিতে বললাম কিন্তু কতৃর্পক্ষ তাদের আইসিইউ’তে রাখার অপারগতা জানালেন কারণ। দু’দিন আগে নাকি ওনাদের হাসপাতালে একজন রোগীর কোভিড পজোটিভ আসে।

সর্বোচ্চ অনুরোধ করার পর জানতে চাইলাম বাবার রিপোর্টে কোভিডের কোনো আশঙ্কা আছে কিনা? ডাক্তার জানালেন তেমন কোনো আশংঙ্কা নেই। বললাম দয়া করে আমাকে এটুকু বলেন যে বাবার বতর্মান যা অবস্থা তাতে অন্য কোনো হাসপাতাল এডমিট করবে কিনা? ওনি জানালেন অ্যাডমিট না করার কোনো কারণ নেই, আমি যেন ম্যাক্স অথবা ন্যাশনালে নিয়ে যাই।

কালক্ষেপণ না করে ম্যাক্সের দিকে ছুটলাম। ম্যাক্সের ইমার্জেন্সিতে রিপোর্ট দেখালাম। ওনারা বললেন, আইসিইউ খালি আছে তবে একটু সময় দিতে হবে। ফাইল আইসিইউ’তে পাঠানো হলো, আমার সামনেই কর্তব্যরত ডাক্তার কয়েকজনকে ফোন করলেন এবং জানালেন আইসিইউ’র ডাক্তাররা ছুটিতে আছেন তাই অ্যাডমিট করতে পারবেন না। বুঝলাম রিকোয়েস্ট করেও কাজ হবে না।

সময় নষ্ট না করে ন্যাশনালে ঢুকলাম। ঢুকেই নানা রকমের প্রশ্নের সম্মুখীন হলাম। যেমন—পার্কভিউ ভর্তি করালো না কেন? ম্যাক্স কি বলল?

মাথা ঠাণ্ডা রেখে উত্তর দিলাম এবং অনুরোধ করে বললাম যে বাবার অবস্থা খুবই খারাপ এবং ওনার কোভিডের কোনো সমস্যা নেই। রিপোর্টগুলো ভালো মতো চেক করে ইমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্ট আইসিইউ’তে ফোন করে জানালেন এবং তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে বলে আমাকে ফাইল নিয়ে কাউন্টারে পাঠালেন।

এরপর কাউন্টারে কর্মরত ব্যক্তি প্রথমে যা বললেন তা হলো, একদিনে কুড়ি হাজার বা তার অধিক বিল আসতে পারে রাজি আছি কিনা! আমি শুধু বললাম তাড়াতাড়ি করেন প্লিজ। বাবাকে আইসিইউ’তে ঢুকানো হলো। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে না ফেলতেই আইসিইউ থেকে আমার ডাক পড়লো, ভেতরে গিয়ে দেখলাম ডাক্তার সাহেব রাগে গজগজ করছেন এবং একজন আরেক জনকে বলছেন ইমার্জেন্সি ডিপার্টমেন্টের কেমন আক্কল! এই ধরনের রোগীকে আইসিইউ’তে পাঠালেন!

আর আমাকে উদ্দেশ করে বললেন, আপনার বাবার কি সমস্যা আপনি জানেন?

বললাম না, তবে মনে হয় কোভিড-১৯ না। উত্তর শুনে ডাক্তার মশাই রেগে গিয়ে বললেন, আপনি কি ডাক্তার যে বললেন কোভিড না? ওনি খুবই বিপদজনক ওনাকে কোনোভাবেই আমাদের আইসিইউ’তে রাখা যাবে না। দয়া করে ওনাকে এখনি নিয়ে যান। বললাম, ইমার্জেন্সি থেকে যে বললো আইসিইউ’তে রাখতে সমস্যা নেই, কোনো উত্তর না দিয়ে ডাক্তাররা বেরিয়ে গেলেন। ফাইল নিতে নিতে বাবার দিকে তাকালাম, বাবার নিশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে নিজের অজান্তেই চোখ ঝাপসা হয়ে আসছিল।

আমার এক বন্ধু প্রবালকে (কার্ডিওলজিস্ট, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল) পেলাম এবং বিস্তারিত জানার পর সে বলল কোনো প্রাইভেটে ট্রাই না করে যেন দ্রুত মেডিকেলে চলে যায়।

মেডিকেলে গিয়ে দেখি ইমার্জেন্সিতে করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা অনেক রোগীর ভিড়, সাধারণ রোগীসহ সবাইকে এক জায়গায় প্রাইমারি ট্রিটমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। এরমাঝে, বাবাকে যতদূর সম্ভব নিরাপদ দুরত্বে রেখে ফাইল নিয়ে হাজির হলাম। সব শুনে এবং রিপোর্ট দেখে বললেন বুকের এক্সরে আর ইসিজি করাতে হবে। আমি বললাম স্যার এগুলোতো আমার করা আছে। বললেন কবে করিয়েছেন? বললাম এইতো ঘণ্টাখানেক আগে, কথা শুনে রিপোর্টগুলো আমার দিকে ছুড়ে দিয়ে বললেন, যা বললাম তাই করেন।

অনেক কষ্টে একটা হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে বাবাকে নিয়ে এক্স’রে করাতে ছুটলাম। গিয়ে দেখি লম্বা লাইন। মেডিকেল স্টাফ, যে কিনা হুইল চেয়ার নিয়ে এসেছে তাকে দিয়ে রিকুয়েস্ট করালাম যেন বাবাকে একটু আগে দেন, কিন্তু ভেতর থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হলো সিরিয়াল ভাঙা যাবে না। এদিকে তীব্র শ্বাসকষ্টের কারণে বাবা বারবার মাস্ক খুলে ফেলছেন, পরে বাবার কষ্ট দেখে আমি নিজেই বাবার মুখ থেকে মাস্ক খুলে দিই।

অনেক কষ্ট করে বাবাকে দাঁড় করিয়ে এক্সরে করালাম, রিপোর্ট নিয়ে ইসিজি ডিপার্টমেন্টে গেলাম এবং আগের রিপোর্টসহ একসাথে দিলাম। রিপোর্ট দেখে উনি বললেন, টেস্ট তো সব করা আছে আবার কেন করালেন? উত্তর না দিয়ে বললাম আমার বাবার কি সমস্যা একটু আমাকে বলবেন? আমাকে জানানো হলো বাবার ফুসফুসে হাওয়া জমে গেছে যা ইমিডেটলি বুকে ছিদ্র করে পাইপ দিয়ে বের করতে হবে। তা ছাড়া বাবার একটা মাইলড অ্যাটাক হয়েছে।

এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তার ভাগনি নিপার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলো। সে বলল ফুসফুস থেকে হাওয়া বের না করলে যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা হতে পারে। ভাগনি তার পরিচিত ডাক্তারদের তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে বললেন এবং সর্বোচ্চ কেয়ার নিতে বললেন। সার্জারি শেষ হলে বাবাকে মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের এইচডিইউ’তে রাখা হলো।

পরে ডাক্তাররা আমাকে অভয় দিয়ে বললেন, সর্বোচ্চ চেষ্টা তারা করবেন। তবে বাবার অবস্থা একটু ক্রিটিক্যাল, আর করোনার কারণে চারপাশের অবস্থা যেহেতু ভিন্ন তাই যাই হোক মেনে নিতে হবে। রাত ১০টা পর্যন্ত বাবার অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। রাত ১১টার পর থেকে বাবার শরীর আস্তে আস্তে নিস্তেজ হতে থাকে। ডিউটি ডাক্তারকে বিষয়টি জানালে তিনি রোগী না দেখেই জানতে চাইলেন স্যালাইন চলে কিনা আর অক্সিজেন ঠিক আছে কিনা। বললাম ঠিক আছে, উনি জানালেন আপাতত এর বাইরে কোনো ট্রিটমেন্ট নেই।

সারা রাত বাবার পাশে বসে রইলাম। বাবার চোখ দুটি হালকা খোলা, বুক ছাড়া বাকি শরীর একেবারে ঠাণ্ডা। সকাল ৮টার দিকে অনেকটা জোড় করে একজন ডিউটি ডাক্তারকে রুম থেকে বের করে আনলাম। ডাক্তার দেখে বললেন অবস্থা ভালো না। ১০ টার দিকে বাবার কাপড় চেইঞ্জ করে বাবাকে পরিষ্কার করে দিই। ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে শেষবারের মতো বাবা আমার দিকে তাকানোর চেষ্টা করেন তখন বাবার গলায় গড়গড় শব্দ হতে থাকে। ২৮ রমজান, জুম্মাতুল আল’বিদার দিন সকাল ১০টার ৪৫ মিনিটে বাবা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

করোনা পরিস্থিতিতে দেশের চিকিৎসা সেবা নিয়ে বেশকিছু দুঃখের কাহিনী ফেসবুকে পড়েছি। কিন্তু আমাকেও যে কিছু লিখতে হবে স্বপ্নেও ভাবিনি।’

 

 

Share

Post navigation

সার্বক্ষণিক অক্সিজেন দিতে হচ্ছে ডা. জাফরুল্লাহকে
১১৮১ জনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল

BREAKING NEWS

সারাদেশ

প্রতারণা,নেশা-নারীতে ডুবে থাকতেন সাজ্জাদ

May 24, 2025
সারাদেশ

Yunus leaves for China on first bilateral visit

Mar 26, 2025
সারাদেশ

Students erupt in protest across the country over rape, sexual violence

Mar 9, 2025
সর্বশেষ সংবাদ
  • প্রতারণা,নেশা-নারীতে ডুবে থাকতেন সাজ্জাদ
  • Prof Yunus named among Time’s 100 Most Influential People of 2025
  • Tariff issue will be resolved through talks with US: CA
  • At least 144 people killed in Myanmar quake
  • Yunus leaves for China on first bilateral visit
  • Met office forecasts rain over parts of country
  • UN chief Guterres leaves Dhaka
  • CA condoles death of Magura rape victim
  • Students erupt in protest across the country over rape, sexual violence
  • This is the highest level of injustice: HC
https://www.youtube.com/watch?v=erhoRGRHl3g
দিন লিপি
July 2025
T F S S M T W
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
« May    

লাইফস্টাইল

লাইফস্টাইল

আমি বহুরূপী

Mar 24, 2024 dainik amaderbangladesh
লাইফস্টাইল

একটি শিশু জন্মাইবে বলে-

Mar 18, 2023 dainik amaderbangladesh
লাইফস্টাইল

ফেসবুকে আর বিশেষ সুবিধা পাবেন না রাজনীতিবিদরা

Jun 4, 2021 dainik amaderbangladesh
লাইফস্টাইল

রাতে দেরিতে খাওয়া উচিত নয় যে কারণে

Dec 8, 2020 dainik amaderbangladesh
লাইফস্টাইল

৫ টাকায় আনলিমিটেড ইন্টারনেট

Dec 5, 2020 dainik amaderbangladesh

BREAKING NEWS

সারাদেশ

প্রতারণা,নেশা-নারীতে ডুবে থাকতেন সাজ্জাদ

May 24, 2025 dainik amaderbangladesh
Local News

Prof Yunus named among Time’s 100 Most Influential People of 2025

Apr 16, 2025 dainik amaderbangladesh
Global

Tariff issue will be resolved through talks with US: CA

Apr 3, 2025 dainik amaderbangladesh
Global

At least 144 people killed in Myanmar quake

Mar 28, 2025 dainik amaderbangladesh
Amader Bangladesh

প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মেহেদি পারভেজ,

ঢাকা প্রধান কার্যালয় :কাওরান বাজার ,ঢাকা ১২১৫,

সিলেট ব্যুরো অফিস : হক সুপার মার্কেট ২য় তলা জিন্দা বাজার,সিলেট -৩১০০,

টেলিফোন :০৯৬৩৮৬২৭১০৬,মেইল: dainikamaderbangladesh@gmail.com

"এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি"

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০০২-২০১৯

Website Developed by M Fahim Faisal