রিমান্ডে ‘অসুস্থ’ সাহেদ হাসপাতাল ঘুরে এলেন - Amader Bangladesh

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে। রিমান্ডের একদিনের মাথায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেখানে তার কোনো জটিলতা

দেখা যায়নি।

দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে সাত দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদক। গত সোমবার প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে সন্ধ্যায় রমনা থানার হাজতখানায় রাখা হয়। সেখানে রাতে অসুস্থবোধ করলে মঙ্গলবার সকালে বিএসএমএমইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তার শরীরে কোনো জটিলতা দেখা যায়নি। পরে দুপুর ২টার দিকে তাকে আবার দুদকে আনা হয়।

দুদক জানায়, ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ২৭ জুলাই একটি মামলা করে দুদক। দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, রিজেন্ট হাসপাতালে এমআরআই মেশিন কেনার জন্য পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) গুলশান করপোরেট শাখায় ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে দুই কোটি টাকা ঋণের জন্য আবেদন করেন সাহেদ করিম। ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা ও ক্রেডিট রিস্ক গ্রেডিং নিরূপণ না করেই ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী ঋণ অনুমোদন করেন। এর পর সাহেদ এমআরআই মেশিন কেনা হয়েছেÑ এমন জাল কাগজপত্র দেখিয়ে একই বছরের ২১ জানুয়ারি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা মহিলা শাখার মাধ্যমে দুই কোটি টাকা উত্তোলন করেন। তবে ঋণের শর্তানুযায়ী এক কোটি টাকার এফডিআর করেন সাহেদ। ঋণের কোনো কিস্তি পরিশোধ না করায় এফডিআর থেকে এক কোটি টাকা সমন্বয় করা হয়। আর বাকি এক কোটি টাকা আনাদায়ী থেকে যায়, যা সুদসহ ২ কোটি ৭১ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। এ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ আগস্ট সাহেদকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে দুদক। আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলায় পদ্মা ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক বাবুল চিশতী, তার ছেলে রাশেদুল হক চিশতি এবং রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিলকে আসামি করা হয়েছে।

About Author