বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ভারতই মদদ দিয়েছে : জাফরুল্লাহ - Amader Bangladesh

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের ভারত মদদ দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ সোমবার পুরানা পল্টনের ইব্রাহিম ম্যানশানে ভাসানী পরিষদের উদ্যোগে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর কাগমারী সম্মেলনের ৬৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ-এর প্রসঙ্গ টেনের তিনি বলেন, ‘মোসাদ দিল্লিতে তাদের অফিস করেছে। বাংলাদেশেও করতে চেয়েছিল ’৭১ সালে। কিন্তু তাজউদ্দিন ও ওসমানীর কারণে ঢুকতে পারেনি। শেখ সাহেবের আমলেও তারা ঢুকতে পারেনি। কিন্তু তারা আজ যেটা করেছে। তারা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে। তারা বুঝাতে চেয়েছে আমরা সাথে থাকলে ১৯৭৫ হতো না। আসলে ১৯৭৫ ভারতের কারণে হয়েছে। ভারতই এদেরকে মদদ দিয়েছে।’

জাফরুল্লাহ বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান মওলানা ভাসানীর পদতলে একটু হলেও বসে ছিলেন বলে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তানের হাত থেকে রেহাই পেলেও ভারতের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না।’

ভারতের বাণিজ্যনীতির সমালোচনা করে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘যখন এ দেশের কৃষক পেঁয়াজ উৎপাদন করে, তখন ভারত পেঁয়াজ বাংলাদেশে ছাড়ে। যখন দাম উঠতে থাকে, তখন তারা গলা টিপে ধরে। ভারত চারিদিক থেকে আমাদেরকে কণ্ঠরোধ করছে। এই কণ্ঠরোধের পাশাপাশি তারা এর একটা মেসেজ দিচ্ছে সাবধান হও, তা না হলে তোমাদের অবস্থা হবে সিকিম ও কাশ্মীরের মতো। তবে আমরা যদি মাওলানা ভাসানীর পথ অনুসরণ করি, তাহলে ভারতকে টেক্কা দিতে পারব।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘ভারত একটি অন্যায়কারী রাষ্ট্র, এই রাষ্ট্র কখনো টিকে থাকতে পারবে না। এই রাষ্ট্র ভাগ হওয়া মাত্র সময়ের ব্যাপার। এক যুগ, বড়জোর দুই যুগ।’

বিএনপির কাছে প্রস্তাব রেখে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘যদি আপনাদের জাগতে হয়, তাহলে তিনটি ছবির মধ্যে দুটি ছবি বাদ দিয়ে মওলানা ভাসানী ও জিয়াউর রহমানকে রাখেন। তবেই আপনাদের পক্ষে আন্দোলন করাটা সহজ হবে। কেননা মওলানার ভাসানীর ছবি থাকলে আপনাদের কোনো ক্ষতি হবে না। দেশবাসী আস্থা পাবে। দেশবাসী বিশ্বাস করবে। আপনারা মওলানা ভাসানীর আদর্শে আছেন। সেখানে মাওলানা ভাসানীর এবং স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের ছবি থাকবে।’

ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি হারুনুর-অর রশীদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও অংশ নেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, ঢাবির সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, রাষ্ট্র চিন্তার অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

About Author