করোনা ও উপসর্গে যত মৃত্যুর খবর এলো - Amader Bangladesh

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই মৃত্যুর তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। আজ সোমবার সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের ‘কঠোরতম বিধিনিষেধের’ ১১তম দিনের প্রথম প্রহরে দেশের বিভিন্ন জেলায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের মধ্যে সাতজন করোনায় ও ১৬ জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। সোমবার (২ আগস্ট) মমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকালপারসন ডা. মহিউদ্দিন খান মুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

রাজশাহী

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জন করোনা পজিটিভ হয়ে এবং ৮ জন উপসর্গ নিয়ে মারা যান।

সোমবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল  শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রাজশাহীর ৬ জন, পাবনার ৫ জন, নওগাঁর ২ জন এবং নাটোর ও কুষ্টিয়ার একজন করে রয়েছেন।

সাতক্ষীরা

করোনা ডেডিকেটেড সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় উপসর্গ নিয়ে আরও পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এই হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৯২ জনে।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. জয়ন্ত সরকার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২১ শতাংশ।

শেবাচিম

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ২৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৩১১ জন রোগী। এদিকে মেডিকেল কলেজের আরটিপিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের হার কিছুটা কমলেও এক দিনের ব্যবধানে আবারও বেড়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক কার্যালয় থেকে জানা যায়, আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে করোনা ওয়ার্ড ত্যাগ করেছেন ৭৫ জন রোগী। একই সময়ে নানা উপসর্গ নিয়ে ৫৬ জন রোগী করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন। আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে সর্বাধিক ২৩ জন রোগীর।

ভোলা

ভোলায় একদিনে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায়  আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে সনাক্ত হয়েছে ১৬০ জন। ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ জনে। জেলা গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিলে।

চট্টগ্রাম

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৯৮৫ জনের শরীরের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার ৩৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এনিয়ে চট্টগ্রামে আক্রান্ত হয়েছে ৮৩ হাজার ৮৭১ জন। এদিন মৃত্যুবরণ করেছে ১১ জন।

সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, প্রতিদিনই সংক্রমণের হার বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৭৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ৯৮৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে।

খুলনা

খুলনা জেলায় করোনার মৃত্যুর সংখ্যা তৃতীয় দিনের মতো দৈনিক তালিকার তলানিতে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৯টা) খুলনার পাঁচটি হাসপাতালে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগীর মধ্যে ছয়জন মারা গেছেন। এর মধ্যে চারজনের বাড়ি খুলনায়। বাকি একজনের বাড়ি নড়াইল ও অন্যজনের বাড়ি বাগেরহাট জেলায়। এতে স্বস্তি রয়েছে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মধ্যে।

কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে নতুন করে (রোববার রাত ১০টা পর্যন্ত) ২৯০ জনের করোনা শনাক্ত এবং ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯ হাজার ৪২৭ জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১৫৯ জন।

পঞ্চগড়

পঞ্চগড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আরও ৪৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

দিনাজপুর

দিনাজপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গায় বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭৯ জন। করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ জন। আজ সোমবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৫৪টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ৬৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৬ হাজার ২০৬ জন।

About Author