শ্রীপুরে, সবুজের অনিয়ম প্রকাশের পর মামলা - Amader Bangladesh
শেখ মোঃ হুমায়ূন কবির (বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান, ঢাকা) :  “কোটিপতি পৌরসভার পিয়ন” শিরোনামে গত ২৭/০৭/২০২০ইং  সোমবার।
তানভীর আহমেদ এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশ হয়। পরবর্তীতে শ্রীপুর মডেল থানায় ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করে শ্রীপুর পৌরসভার চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী (মাস্টাররোল) সবুজ। এবিষয়ে দুর্নীতি ও মামলার প্রতিবাদে ০৪/০৮/২০২০ইং মঙ্গলবার, বেলা ১২ টায় তানভীর আহমেদ এর নিজস্ব মাওনা অফিসে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জনাব তানভীর আহমেদের বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হল।
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ সকলকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছো। বক্তব্যের শুরুতেই গভীর শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করছি ১৫ই আগষ্ট, দুর্নীতিমুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সর্বকালের সর্বশেস্ট বাঙ্গালী অবিসাংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ উনার সাথে নির্মমতার হত্যার শ্বীকার ওইদিনের পরিবারের সকল শহিদদের।
বিজ্ঞ সাংবাদিকগন, ঈদ পরবর্তী আনন্দের বদলে অত্যান্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় বাংলাদেশকে যখনই দুর্নীতি ও সুষণমুক্ত করার জন্য জাতির পিতা কাজ শুরু করলেন ঠিক সেই সময় বাংলার আকাশ অন্ধকারাচ্ছন্ন করে দিলো একটা হায়নার দল, বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ন হতে দেয়নি দালালরা।
অসম্পূর্ন সেই সোনার বাংলার হাল ধরেছেন তারই সুযোগ্য কঁন্না সোনার বাংলার জননী বঙ্গকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্দেশ্য অভিন্ন বাবার মত দুর্নীতি ও সুষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়া, সেই লক্ষে নিজের কথা না ভেবে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম কাজও করছেন তবে সমস্যা হলো সরষের মধ্যেই ভূত।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নেতৃত্বদানকারী সরকার যখন দুর্নীতি দমনে বদ্ধপরিকর তখন স্বাধীনতা বিরোধীদের বংশধররা তৎপর দুর্নীতির মহোউৎসবে।
দুর্নীতিবাজরা এতটাই বেসামাল যে দুর্নীতির সংবাদ কোন মাধ্যমে প্রকাশিত হলেই মিথ্যা, সাজানো বানোয়াট ভিত্তিহীন তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ কর্মীদের নামে মামলা করে সত্যের মুখ বন্ধ করতে চায়, এমন কান্ডের পুনরাবৃত্তি হল আমার সাথে।
আপনাদের সদয় অবগতির জন্য বলছি,
আমি তানভীর আহমেদ
পিতা- মোঃ আবু তাহের
গ্রাম- বাগমারা
শ্রীপুর পৌরসভা, গাজীপুর।
পেশা সাংবাদিকতা বর্তমানে প্রখ্যাত সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খান সম্পাদিত ও প্রকাশিত ইংরেজী দৈনিক Our Time এ থানা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছি। এমতাবস্থায় আমার দির্ঘদিনের অনুসন্ধানের পর তিন পর্বের একটি বিশেষ প্রতিবেদনের।
প্রথম পর্ব ” “কোটিপতি পৌরসভার পিয়ন” শিরোনামে গত ২৭/০৭/২০২০ইং সোমবার বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে গুরুত্বের সাথে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে ২৮/০৭/২০২০ইং মঙ্গল বার, অভিযুক্ত (জহিরুল হক সবুজ) উক্ত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে।
উল্লেখ্য অভিযুক্ত সবুজ উক্ত সম্মেলনে প্রকাশিত সংবাদের সত্যতাও সহমত ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে প্রকাশ করে। এর পরপরই সবুজ বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় আমার ও আমার পাঠক আনোয়ার হোসেনের নামে মিথ্যা, সাজানো বানোওয়াট উদ্দেশ্যপ্রণেদিত মামলা করে যা আমার ও আমার পাঠকে চরম মানহানী হয়।
স্বরণীয় আমার আগেও মামলাবাজ জহিরুল হক সবুজ বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর দুই সাংবাদিকের নামে মামলা করে। ওই দুই সাংবাদিক হলেন তৎকালীন (ভোরের কাগজ, এর শ্রীপুর প্রতিনিধি এনামুল হক আকন্দ ও মানবকণ্ঠ পত্রিকার শ্রীপুর প্রতিনিধি ফয়সাল আহমেদ)।
এবিষয়ে আমার স্বাধীন মতামত সবুজের দুর্নীতির সংবাদ কোন সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ করলেই বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগে মামলা, হামলা করা হয়।
আমি বাংলাদেশ আইনের প্রতি সম্পূর্ন শ্রদ্ধাশীল তাই মামলা হওয়াতে আমার কোন দুঃখ নেই তবে যেহেতু আমি উপযুক্ত তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করি যার ফলে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দমকি দেওয়া হয়। এতে আমি শ্রীপুর মডেল থানায় জিডি করি। যদি মামলা রেকর্ডের পূর্বে আমার সাথে কেউ যোগাযোগ করতো তবে আমি তথ্যাদি পরিবেশন করতে পারতাম, যাইহোক।
আমি যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পূর্ন করে ও বিজ্ঞ সাংবাদিকদে সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহন করবো।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক ও সামাজিক নেতৃবন্দ।সহ আরো অনেকে।

About Author