অনলাইনেও নেই ট্রেনের টিকিট - Amader Bangladesh

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে গত ঈদে যাত্রী পরিবহন বন্ধ রাখে রেল কর্তৃপক্ষ। গত ৩১ মে থেকে সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে বিভিন্ন রুটে ১৭টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে। সাধারণ ছুটি থাকাকালীন মালবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত ছিল। এখন সেসব রুটেই ট্রেন চলছে। টিকিট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। কাউন্টারে টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকায় অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহের চেষ্টা করেন যাত্রীরা। কিন্তু তাদের অভিযোগÑ অনলাইনে টিকিট মিলছে না।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে বর্তমানে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনসমূহ পরিচালনা অব্যাহত থাকবে। ঈদের দিন এবং ঈদের পর দিন সব আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ৩১ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের মালবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।

সাধারণত ভোরবেলায় টিকিট বিক্রি হবে এমন আশা থেকে সকাল ৬টা থেকেই চেষ্টা করেন যাত্রীরা। অনেকক্ষণ চেষ্টা করেও টিকিট মেলে না। টিকিটযুদ্ধে নিজের টিকিট বাগিয়ে নিতে ভোরে উঠেই মোবাইলের রেলসেবা অ্যাপ ও ল্যাপটপে ওয়েবপেজ খুলে প্রস্তুত কাক্সিক্ষত গ্রাহক। কিন্তু শুধু লোডিং দেখায়। একপর্যায়ে স্ক্রিনে ভেসে ওঠে ‘আপনার কাক্সিক্ষত আসন নেই’ (রিকোয়েস্টেড সিট নট অ্যাভেইলেবল)।

আবার টিকিটপ্রত্যাশী অনেকেরই অভিযোগÑ টিকিট কাটতে গিয়ে টাকা বিকাশে কিংবা ক্রেডিট কার্ডে কেটে নিলেও পাননি কাক্সিক্ষত টিকিট। কেটে নেওয়া টাকা ফেরত পেতেও লাগছে চার দিন থেকে এক সপ্তাহ। অনলাইন কিংবা অ্যাপে টিকিটপ্রত্যাশীদের অভিযোগÑ টিকিট কাটার নির্ধারিত সময়ে অ্যাপ অচল হয়ে পড়ছে। লোডিং দেখায়, হ্যাং হয়ে থাকে। টার্ন করে না। আবার শেষ মুহূর্তে গিয়ে টাকার জন্য বিকাশ নম্বর চাওয়ার সময় দেখায় টিকিট শেষ।

রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রেনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় চাহিদা বেড়ে গেছে। অর্ধেক আসন কমে গেছে। সে হিসাবে মাত্র ৩০০ আসনের টিকিট মিলছে। একসঙ্গে হিট করতে থাকায় সাইটে চাপ পড়ে। যে কারণে অনেক ক্ষেত্রেই বিকল হয়ে পড়ছে রেলসেবার অ্যাপ। এ সমস্যা ঈদে বাড়টি টিকিটের চাপের কারণে হচ্ছে। বাড়তি টিকিটের চাপ থাকলেও ট্রেনের শিডিউল কম।

এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান বলেন, অনলাইনে টিকিট ও বিক্রি হচ্ছে। করোনা সুরক্ষা বিবেচনায় আসন অর্ধেক ফাঁকা রাখা হচ্ছে। একসঙ্গে হিট করায় হয়তো সমস্যা হতে পারে।

About Author